Posts

Showing posts from May, 2021

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কে জ্বালিয়েছিলেন এবং কেন?

Image
আমরা জানি যে, যে কোন দেশের উন্নতি ও বিকাশ সে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির উপর নির্ভর করে। দেশের শিক্ষার্থীরাই পরবর্তীতে এসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়, দেশের জন্য নিয়ম কানুন বানিয়ে থাকে। এরকমভাবে আমরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে সত্তরটিরও অধিক বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রমান পেয়েছি। এগুলির মধ্যে নালন্দা, তক্ষশীলা, বিক্রমশীলা, সোমপুর, পণ্ডিত বিহার, জগদ্দল, ওদন্তপুরী ইত্যাদি ছিল সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য।  আমরা ইতিহাসে পড়েছি যে, দ্বাদশ শতাব্দীতে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন্ বখতিয়ার খিলজী নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত আমরা ইহাই জানি এবং এরূপই প্রচার করা হয়েছে। কেন জ্বালিয়েছিলেন সে সম্পর্কে কোন উত্তর পাওয়া যায়না। ইহাতে ঐতিহাসিকগণ মৌনতা ধারণ করে থাকেন।  এখন প্রশ্ন উঠে আসে যে, বখতিয়ার খিলজী ছিলেন তুর্কী। তিনি আফগানিস্তান হয়ে খাইবার গিরি পার করে পান্জাব-গুজরাত- দিল্লী পর্যন্ত পৌঁছে আবার সেখান হতে উত্তর প্রদেশ হয়ে বিহারের নালন্দায় পৌছলেন এবং সে সময় নালন্দা ছিল ব্রাহ্মণ আনুগত্য সেন বংশের রাজাদের অধীনে। একজন তুর্কী এতদূর দীর্ঘ পথ পরিক্রমা করে সেন বংশের রাজ্য নালন্দায় আসেন ...

THE AMBEDKOR IDEAL NEVER DIE

Image
  ১৯৪৭ সালের ১৪ই মে বুধবার তৎকালীন বাংলার যখন সমস্ত মনুবাদী সংগঠনগুলি বাংলাকে ভাগ করতে বদ্ধপরিকর, সেই সময় দাঁড়িয়ে ১৩ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড ঠিকানায় বাংলার বঙ্গীয় প্রাদেশিক তফসিলী জাতি ফেডারেশন সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাভাগের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গৃহীত হয়। বঙ্গীয় প্রাদেশিক তফসিলী জাতি ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল।   উক্ত প্রস্তাবে বলা হয় - "বঙ্গীয় তফসিলী ফেডারেশনের কার্যনির্বাহক সমিতি গভীর মনোনিবেশ অসতর্কতার বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব বিবেচনা করেছেন এবং কার্যত বঙ্গভঙ্গ হলে তার ফলাফল সম্পর্কেও সুচিন্তিতভাবে বিবেচনা করে এই স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে বাংলাকে হিন্দু ও মুসলিম বঙ্গে বিভক্ত করলে সাম্প্রদায়িক সমস্যার কোনও সমাধান না হয়ে বরং উত্তরোত্তর সাম্প্রদায়িক সমস্যাকে আরও জটিলতর করে তুলবে এবং পূর্ববঙ্গের হিন্দুরা সংখ্যায় আরও সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে জটিলতর অসহায় অবস্থার মধ্যে পরবে। কমিটি মনে করে যে, বঙ্গবিভাগ শুধু পূর্ববঙ্গের হিন্দুদেরই ক্ষতিকারক হবে তা নয়, বরং উহা সমগ্র পূর্ব ও পশ্চিম বাঙলার হিন্দু ও মুসলিমদের সমূহ ক্ষতি করবে। অধিকন্তু বঙ্গ বিভাগ সমগ্র বঙ্গে বিচ্ছিন্ন তফসিলী...

শবে কদরের রাতে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো...

সালদানদী রণাঙ্গন তখন ভয়াভহরকম উত্তপ্ত। অথচ বাহ্যিক কোনো রণকৌশলগত কারণ নেই। ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থান নিয়ে আছে। অপর পাড়ে মুখামুখি অবস্থানে আছে ৩০ পান্জাব রেজিমেন্ট। সেদিন দিবাগত রাতে শব ই কদরের রাত। আমাদের এবং পাকিস্তানীদের একই বেতারযন্ত্র (GRC-10)। ইচ্ছা করলে শত্রুর সঙ্গে কথা বলা যায়। ক্যাপ্টেন আবদুস সালেক চৌধুবী (বীর উত্তম) বেতারযন্ত্রে পাকিস্তানী কোম্পানী কমান্ডারের সাথে কথা বলতে চাইলেন। সেটে-এ আসলো কোম্পানির সিনিয়র জেসিও,এক সুবাদার।  অধীনস্থ ও অনুগত সৈনিকের মতো পাকিস্তানি বললো: --->স্যার,কোম্পানি কমান্ডার সাহেব রিয়ারে (rear - ময়নামতি সেনানিবাস) গিয়েছেন।  ক্যাপ্টেন সালেক --> সুবাদার সাহেব শোনেন - আজ শব ই কদর। সন্ধার পর গোলাগুলি করবেন না। ছেলেরা নামাজ-কালাম পড়বে। পাকিস্তানি সুবেদার -->না স্যার। এভাবে বলে কয়ে যুদ্ধ হয় না। এবার ক্যাপ্টেন সালেক তার ৬টি ৩.৭ ইন্চি গান (কামান) প্রচুর গোলাসহ তৈরি করলেন। সন্ধার পর শুরু হলো শত্রু অবস্থানের উপর অবিরাম এবং ভারি গোলাবর্ষণ। ঘন্টাখানেক পর পাকিস্তানী সুবাদার সাহেব সেট-এ এসে হাঁপাতে হাঁপাতে ক্যাপ্টেন সালেককে...

Syed Ahmed Baire Lovi ( R )

 আজ ঐতিহাসিক বালাকোট দিবস । ১৮৩১ সালের ৬ মে  উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বালাকোট নামক প্রান্তরে শাহাদাতবরণ করেন সাইয়েদ আহমদ বেরেলভি ও শাহ ইসমাইল সহ অসংখ্য মুজাহিদ । ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রপথিক, সাইয়েদ আহমাদ ব্রেরলভী (র.)- ছিলেন উপমহাদেশের আযাদী আন্দোলন ও ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রতিষ্ঠায় এক নির্ভীক সিপাহসালার। তিনি জীবনের মূল্যবান সময়কে দীন ইসলামের জন্য কুরবানী করে গেছেন । মাত্র ৪৫ বছর বয়সে তিনি শাহাদাত বরণ করেছিলেন । তাঁর লাশটিও শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি ।  বালাকোটে ৭০০ মুজাহিদের বিপরীতে ১০ হাজার শিখ সৈন্য যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। তারপরও মুসলমানরা যুদ্ধে বীরত্বের পরিচয় দেয়। ৩০০ মুজাহিদের শাহাদাত বরণের উল্টো পিঠে শিখ সৈন্য মারা যায় ৭০০। মুসলমানদের সংখ্যায় কম থাকার পাশাপাশি সে যুদ্ধে রসদও কম ছিল। সাইয়েদ আহমাদ অনেকটা ওহুদ যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বালাকোটেও বিশ্বাসঘাতকতা ছিল। শিখরা তো ছিলই, আরবি নামধারীরাও ছিল। 

TIPU SULTAN IS GREAT DISASTER FOR BRITISH COLONY RULE

Image
  শের-ই-মহীশূর টিপু সুলতানের আজ শাহাদাত বার্ষিকী । ১৭৯৯ সালের ৪ মে ইংরেজদের সাথে  যুদ্ধে উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এই মহান নেতা  শাহাদাতবরন করেন । তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের মহীশূরের শাসনকর্তা । টিপুর এক সেনাপতি মীর সাদিক বিশ্বাসঘাতকতা করে ইংরেজদের  সঙ্গে হাত মেলান, এর ফলে টিপুর পতন ত্বরান্বিত হয় ।  উপমহাদেশের সাবেক মহীশূর রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হায়দার আলীর জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং ইতিহাস খ্যাত অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক ও বীর যোদ্ধা টিপু সুলতান   কাবেরী নদীর তীরে ঔপনিবেশিক ইংরেজ বাহিনীর সাথে এক যুদ্ধে  গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদতবরণ করেন। তিনি ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ও স্বাধীনচেতা অসাধারণ একজন সুলতান। জনহিতকর কার্যাবলির জন্যও ইতিহাসে তিনি চির অম্লান হয়ে আছেন। টিপু সুলতান অল্প সময়ের মধ্যেই ইসলাম ধর্ম, আরবি-ফারসি, বিজ্ঞান এবং শিল্প-সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরল পান্ডিত্য অর্জন করেন।  ১৭৮২ সালে পিতা হায়দার আলী মারা গেলে তিনি সিংহাসনে বসেন। তিনি যে সাম্রাজ্যের অধিপতি হন, সেটা উত্তরে কৃষ্ণা নদী থেকে দক্ষিণে ত্রিবাংকুর রাজ্য এবং পূর্ব দিকে তা পূর্ব উপকূল ও পশ্চি...