TIPU SULTAN IS GREAT DISASTER FOR BRITISH COLONY RULE

 


শের-ই-মহীশূর টিপু সুলতানের আজ শাহাদাত বার্ষিকী । ১৭৯৯ সালের ৪ মে ইংরেজদের সাথে  যুদ্ধে উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এই মহান নেতা  শাহাদাতবরন করেন । তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের মহীশূরের শাসনকর্তা । টিপুর এক সেনাপতি মীর সাদিক বিশ্বাসঘাতকতা করে ইংরেজদের  সঙ্গে হাত মেলান, এর ফলে টিপুর পতন ত্বরান্বিত হয় । 


উপমহাদেশের সাবেক মহীশূর রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হায়দার আলীর জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং ইতিহাস খ্যাত অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক ও বীর যোদ্ধা টিপু সুলতান   কাবেরী নদীর তীরে ঔপনিবেশিক ইংরেজ বাহিনীর সাথে এক যুদ্ধে  গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদতবরণ করেন। তিনি ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ও স্বাধীনচেতা অসাধারণ একজন সুলতান। জনহিতকর কার্যাবলির জন্যও ইতিহাসে তিনি চির অম্লান হয়ে আছেন। টিপু সুলতান অল্প সময়ের মধ্যেই ইসলাম ধর্ম, আরবি-ফারসি, বিজ্ঞান এবং শিল্প-সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরল পান্ডিত্য অর্জন করেন। 


১৭৮২ সালে পিতা হায়দার আলী মারা গেলে তিনি সিংহাসনে বসেন। তিনি যে সাম্রাজ্যের অধিপতি হন, সেটা উত্তরে কৃষ্ণা নদী থেকে দক্ষিণে ত্রিবাংকুর রাজ্য এবং পূর্ব দিকে তা পূর্ব উপকূল ও পশ্চিম দিকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ইতিহাসবিদদের মতে, নিঃসন্দেহে এটি সমৃদ্ধ ও সুশাসিত সাম্রাজ্য ছিল । 


৪ মে ফজরের নামাজ আদায় করে টিপু সুলতান শত্রু বাহিনীর মোকাবেলায় অবতীর্ণ হন । গাদ্দার পরিবেষ্টিত হয়ে তাকে যুদ্ধ করতে হয় । এমনকি তাঁর ব্যক্তিগত ও খাস খাদেম গোলাম রাজা খানও তাঁর সাথে চরম গাদ্দারী করে । তার কাছে পানি থাকা সত্ত্বেও সে সুলতানকে পানি দিতে অস্বীকার করে এবং সুলতান সারাদিন পানির পিপাসায় ছটফট করেন । এই গাদ্দারই তাকে দুশমনের হাতে আত্মসমর্পণের কুপরামর্শ দেয় । সেসময় তাকে লক্ষ করেই টিপু সুলতান সেই বিখ্যাত উক্তিটি করেন । 

"আমার কাছে সিংহের একদিনের জীবন শিয়ালের শত বছরের জীবনের চেয়ে উত্তম"


অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কাছে টিপু সুলতানের  নাম ছিলো এক বিভীষিকা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ভয় ছিলো যে, টিপু সুলতান নেপোলিয়নের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতকে ব্রিটিশমুক্ত করতে পারেন। এটি একেবারে অমূলকও ছিল না। এজন্য অটোমান এবং ফরাসি সাম্রাজ্যের প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেনও টিপু সুলতান। তাই ১৭৯৯ সালে শ্রীরঙ্গপত্তমে টিপুর মৃত্যু ছিলো তাদের বহুল প্রত্যাশিত সংবাদ। মূলত টিপু সুলতানের শাহাদাতের পর তাঁর রাজধানী শ্রীরঙ্গপত্তমে লুটতরাজের এক মহোৎসব শুরু হয়। উইলিয়াম উইল্কি কলিন্সের লেখা বিখ্যাত ‘দ্য মুনস্টোন’ উপন্যাসের প্রথম দৃশ্যটি শুরু হয় এই লুটতরাজের বর্ণনা দিয়ে।


তদানীন্তন বৃটিশ সাম্রাজ্যের পরিচালক রিচার্ড ওয়েলেসলি টিপু সুলতানের মৃত্যু সংবাদ শুনে উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। ভগবান এস গিদোয়ানী ‘দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান’ গ্রন্থে এমনটাই উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, টিপুর মৃত্যুর পর ‘গোটা ভারতবর্ষই এখন আমাদের’ এমন একটি মন্তব্যও ওয়েলেসলি করেন বলে জানা যায়। টিপুর মৃত্যুসংবাদে ওয়েলেসলির এমন প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ভারতে বৃটিশ সাম্রাজ্য নিষ্কন্টক ও একচ্ছত্র করতে সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন টিপু সুলতান। আর সে লক্ষ্যেই তারা পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিলেন ৪ মে ১৭৯৯ সালে।

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শাহাদাত বরণকারি  দক্ষিণ ভারতের মহীশূরের শাসক স্বাধীনতা সংগ্রামী  টিপু সুলতান .


😍 May Allah Rest Him Jannat Ul Firdaus 😍


Comments

Popular posts from this blog

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কে জ্বালিয়েছিলেন এবং কেন?

চার দেয়ালের চেয়েও ছোট পৃথিবী

CLASH OF CIVILIZATION AGAINST ON MUSLIM COMMUNITY