শবে কদরের রাতে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো...


সালদানদী রণাঙ্গন তখন ভয়াভহরকম উত্তপ্ত। অথচ বাহ্যিক কোনো রণকৌশলগত কারণ নেই। ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থান নিয়ে আছে। অপর পাড়ে মুখামুখি অবস্থানে আছে ৩০ পান্জাব রেজিমেন্ট। সেদিন দিবাগত রাতে শব ই কদরের রাত। আমাদের এবং পাকিস্তানীদের একই বেতারযন্ত্র (GRC-10)। ইচ্ছা করলে শত্রুর সঙ্গে কথা বলা যায়। ক্যাপ্টেন আবদুস সালেক চৌধুবী (বীর উত্তম) বেতারযন্ত্রে পাকিস্তানী কোম্পানী কমান্ডারের সাথে কথা বলতে চাইলেন। সেটে-এ আসলো কোম্পানির সিনিয়র জেসিও,এক সুবাদার। 

অধীনস্থ ও অনুগত সৈনিকের মতো পাকিস্তানি বললো:

--->স্যার,কোম্পানি কমান্ডার সাহেব রিয়ারে (rear - ময়নামতি সেনানিবাস) গিয়েছেন। 

ক্যাপ্টেন সালেক --> সুবাদার সাহেব শোনেন - আজ শব ই কদর। সন্ধার পর গোলাগুলি করবেন না। ছেলেরা নামাজ-কালাম পড়বে।

পাকিস্তানি সুবেদার -->না স্যার। এভাবে বলে কয়ে যুদ্ধ হয় না।

এবার ক্যাপ্টেন সালেক তার ৬টি ৩.৭ ইন্চি গান (কামান) প্রচুর গোলাসহ তৈরি করলেন। সন্ধার পর শুরু হলো শত্রু অবস্থানের উপর অবিরাম এবং ভারি গোলাবর্ষণ। ঘন্টাখানেক পর পাকিস্তানী সুবাদার সাহেব সেট-এ এসে হাঁপাতে হাঁপাতে ক্যাপ্টেন সালেককে অনুনয় করতে থাকেন, স্যার এখনতো বন্ধ করেন। ছেলেরা একটু নামাজ-কালাম পড়বে।



Comments

Popular posts from this blog

ইনি ননীবালা দেবী

MUGHAL EMPIRE LAST HISTORY OF INHERITANCE SULTAN BAHADUR SHAH JAFAR